বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড

বিতর্ক আর বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত, একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। বিতর্ক নয় কঙ্গনা বিতর্কের পিছু ছাড়ে না। বিজেপি সমর্থক কঙ্গনা পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে টুইট করেন। পরপর তিনটি টুইটে মমতাকে আক্রমণ করেন কঙ্গনা।

প্রথম টুইটে কঙ্গনা লেখেন, বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গারা মমতা ব্যানার্জির সবচেয়ে বড় শক্তি। যা প্রবণতা দেখছি তাতে বাংলায় আর হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নেই এবং তথ্য অনুযায়ী গোটা ভারতের অন্য এলাকার তুলনায় বাংলার মুসলিমরা সবচেয়ে গরিব আর বঞ্চিত। ভালো আরেকটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।

অভিনেত্রীর এ মন্তব্য মেনে নিতে পারেনি নেটিজেনরা। তার বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হন অনেকে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ মে) সাসপেন্ড করা হয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইটার অ্যাকাউন্ট। কারণ হিসেবে টুইটার কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে, টুইটার ব্যবহারের নীতিমালা মানছেন না কঙ্গনা। তাই তার অ্যাকাউন্ডটি সাসপেন্ড করা হয়েছে। কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কঙ্গনা বিরোধী অনেকে।

এদিকে উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং বাঙালি জাতিকে অপমান করার অভিযোগে কঙ্গনার নামে কলকাতায় মামলা করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবী সুমিত চৌধুরী। ই-মেইলে কঙ্গনার নামে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

সুমিত চৌধুরীর অভিযোগ করেন, কঙ্গনা বাংলার আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করতে চাইছেন। ২ মে তিনি যে তিনটি টুইট করেছেন তা পশ্চিমবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গবাসীর অপমান। বিজেপির পক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছেন কঙ্গনা।