খল অভিনেতা জাম্বুকে মনে রাখেনি এফডিসি

বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা জাম্বুর কথা মনে আছে? ভাঙ্গা কণ্ঠের স্বাস্থ্যবান দেহের অধিকারী খল অভিনেতা জাম্বু। সাদাকালো যুগে পর্দা দাঁপিয়েছেন তিনি। রঙিন সিনেমার যুগেও সমান তালে কাজ করেছেন। অভিনয়গুণে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন দর্শক হৃদয়ে।

তার আসল নাম সুখলাল বাবু। ঢাকার হাজারিবাগে তার জন্ম। বাবুল গোমেজ নামে এফডিসিতে নাম লেখান তিনি। পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু তার নাম বদলে রাখেন ‘জাম্বু’। সেই থেকে আজও দর্শক হৃদয়ে আছেন এ অভিনেতা।

২০০৪ সালের ৩ মে না ফেরার দেশে চলে যান জাম্বু। আজও নীরবে গেল জাম্বুর মৃত্যুবার্ষিকী। শুধুমাত্র চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনলাইন গ্রুপগুলোতে করা হয় তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ। কিন্তু সিনেমা সংশ্লিষ্টদের কোনো আয়োজন চোখে পড়ে না।

অথচ জাম্বু ছিলেন এক সময়ের পর্দা কাঁপানো অভিনেতা। খল নায়কের সহকারী হিসেবে অভিনয় করলেও অভিনয় দক্ষতায় কোনো অংশে কম ছিলেন না তিনি। পর্দায় তার অভিনয় ফুটে উঠত নায়ক জসিমের সঙ্গে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাম্বুর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। ছোট ছেলে সাম্বু কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। এখন যাত্রা করেন। এক সাক্ষাৎকারে সাম্বু জানিয়েছিলেন, তার বাবাকে স্মরণ করতে এফসিডিতে কেউ নেই। পরিবারেও তাকে সেভাবে স্মরণ করা হয় না।

জাম্বু অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে-‘সাগর ভাসা’, ‘শীষনাগ’, ‘নির্দোষ’, ‘মোহাম্মদ আলী’, ‘ধর্ম আমার মা’, ‘ডাকাত’, ‘নবাব’, ‘রাস্তা’, ‘রাস্তার রাজা’, ‘রকি’, ‘আত্মরক্ষা’, ‘পরিবার’, ‘সন্ত্রাস’, ‘অতিক্রম’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘টাইগার’, ‘বনের রাজা টারজান’, ‘হিরো’, ‘চাকর’, ‘ববি’, ‘রাজলক্ষী শ্রীকান্ত’, ‘দায়ী কে’, ‘মিস লংকা’ ইত্যাদি।