প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে

ঘাটাইলে পুলিশের এএসআই মিনহাজ উদ্দিন মিন্টুর বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকালে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা ওই নারী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার টেপিকুশারিয়া গ্রামের। অভিযুক্ত এএসআই বর্তমানে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত। লিখিত বক্তব্যে ধর্ষিতা বলেন, উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের টেপিকুশারিয়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসীর স্ত্রী তিনি।

স্বামী বিদেশ থাকায় একমাত্র ছেলেকে (১৩) নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করতেন। এ সুযোগে একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু প্রায় তিনবছর ধরে প্রবাসীর স্ত্রীকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব ও উত্ত্যক্তের মাধ্যমে অবৈধ সর্ম্পক গড়ার চেষ্টা করে। মিন্টুর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৭শে জুন রাত ৮টার দিকে তার ঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করা হয়েছে বলে জানায়।

এ কথা কাউকে বললে ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এরপর ধর্ষণের চিত্র প্রকাশের ভয় দেখিয়ে পুনরায় শারীরিক সর্ম্পক স্থাপনের চেষ্টা করে মিন্টু। এ পর্যায়ে, গত ২০শে সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় মিন্টু তার সহযোগী মৃত খালেক মণ্ডলের ছেলে ইদ্রিস আলীকে সঙ্গে নিয়ে তার ঘরে ঢুকে পুনরায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।

এ সময় তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে মিন্টু পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রবাসীর স্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযুক্ত মিন্টুর বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন পিপিএম বলেন, এএসআই মিনহাজ উদ্দিন মিন্টুর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

এ নিয়ে অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু জানান, ঘটনাটি সাজানো একটি ষড়যন্ত্র। তার মানসম্মান নষ্ট ও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই প্রবাসীর স্ত্রী এমন অভিযোগ তুলেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময় : ১৩১৭ ঘণ্টা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ