ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ১৩ দিন পর পুরনো এলসির টেন্ডার করা ২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করেছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত তিনদিনে ৪৭০ টন পেঁয়াজ ঢুকেছে।
গত ৭ ডিসেম্বর ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ ২৬ ভারতীয় ট্রাকে ৭৪৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয় সোনামসজিদ বন্দরে।
অভিযোগ রয়েছে, পেঁয়াজ আমদানি হলেও বেশি লাভের আশায় পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে রেখেছেন আমদানিকারকরা। হিলি বন্দরে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ বিক্রি না করায় পেঁয়াজ না কিনে ফিরে যাচ্ছেন পাইকাররা।
সোনামসজিদ বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুই ট্রাকে ৫২ টন পেঁয়াজ আসে। এর আগে গত সোমবার ৬ ট্রাকে ১৬৩ টন এবং গত রবিবার ১০ ট্রাকে ২৫৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা- সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার কামাল খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে পেঁয়াজ প্রবেশ কতদিন চলবে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেননি তিনি। আজ সন্ধ্যায় কামাল খান বলেন, এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত তথ্য দায়িত্বশীল মহল থেকে জানানো হয়নি।
আমদানিকারকের প্রতিনিধি সেলিম জানান, গত ৭ ডিসেম্বর ভারত সরকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে চরম বিপাকে পড়তে হয় আমদানিকারকদের।
ভারতের রপ্তানিকারকরা পুরনো এলসির টেন্ডার করা পেঁয়াজগুলো রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে তারা অনুমতি পান। এরপর কিছু আইনি জটিলতা থাকায় এতো দিন পেঁয়াজগুলো রপ্তানি করতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজগুলো ভারতে নাসিক ও ব্যঙ্গালোরসহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সেখান থেকে আসতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগে। এর সাথে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর ভারতে ১৩ দিন গাড়িতে রপ্তানির জন্য আটকে ছিল।
পেঁয়াজের পাইকারী ক্রেতা রজিত আলী বলেন, পেঁয়াজ আমদানির খবরে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে এসেছি। তাঁরা ১০০ টাকা কেজি হাঁকাচ্ছে। ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনলে লোকশান গুনতে হবে। তাই পেঁয়াজ না কিনেই ফিরে যেতে হচ্ছে।