উদ্ধার হওয়া বোমাটি বিস্ফোরিত হলে মারা যেতেন সবাই: পুলিশ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কক্সবাজারগামী বাস থেকে উদ্ধার বোমাটি ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি)। এটি একটি ‘টাইম জেনারেটিং’ বোমা। পুরো ডিভাইসে একটি ডিজিটাল ঘড়ি, ব্যাটারির এক প্রান্তের তার ও অপর প্রান্তে এক্সপ্লোশন (গান পাউডার, পেট্রল, বারুদ) লাগানো ছিল। ঘড়ির টাইমার সক্রিয় হয়ে আইইডি বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে বাসের ১৬ যাত্রী, সুপারভাইজার, চালকসহ ১৯ জনের সবারই প্রাণহানি হতো।

আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।

তিনি জানান, বেঙ্গল পরিবহনের সুপারভাইজারের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাসদৃশ বস্তুটি দেখে। পরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানায়, এটি একটি টাইম বোমা ছিল। পরে তারা সেটিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে বিস্ফোরিত করা হয়।

পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, এটি টাইম জেনারেটিক বোমা। এখানে ডিজিটাল ঘড়ি, ব্যাটারিসহ বোমার সারঞ্জাম ছিল। এটি বিস্ফোরিত হলে গাড়ির ভেতরে যত যাত্রী ছিল সবাই মারা যেতেন। বড় ধরনের এই ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা পাওয়ায় গাড়ির সুপারভাইজরকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।

এর আগে, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় বেঙ্গল পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে বোমাসদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা বাসটির একটি সিটের পেছন ছিল বস্তুটি। পরে মধ্যরাতে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে এটি নিষ্ক্রিয় করেন।