কুষ্টিয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন যুবলীগের মিছিলে অংশগ্রহণের অভিযোগে ১০ জন শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ১০টার দিকে জেলখানা মোড় থেকে কোদাল ও ঝুড়িসহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া বাড়াদী গ্রামের মৃত আলম সর্দারের ছেলে সালাম সর্দার (৪৫), মৃত আজবার শেখের ছেলে আলতাফ শেখ (৩৫), মৃত আফজাল শেখের ছেলে সূর্য শেখ (৫৭), মৃত আফসার উদ্দিন খানের ছেলে আলম খান (৪৮), মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে মোতালেব (৫৫), মৃত আলী হোসেনের ছেলে খোসবার ঘরামি (৫০), কালোয়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে ফরিদ ব্যাপারী (৪৫), কুমারখালী উপজেলার বানিয়াপাড়া বাড়াদী গ্রামের মৃত ফকরুদ্দিনের ছেলে সাইদুর রহমান (৫৫), হরিপুর এলাকার মৃত শাহাদাত মন্ডলের ছেলে নজিম উদ্দিন মন্ডল (৫৫) ও বোয়ালদহ মেছোপাড়া গ্রামের মৃত হানিফ সর্দ্দার ছেলে আব্দুল খালেক (৬৫)।
তবে আটককৃতদের স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের মতো রোববারও সকালের দিকে তারা দিনমজুর শ্রমিকের কাজ খুঁজতে যান কুষ্টিয়া শহরের ছয়রাস্তা মোড়ে। ৩ ট্রাক বালু ফেলার জন্য মোটরসাইকেল যোগে একজন ব্যক্তি শ্রমিকদেরকে খোঁজার উদ্দেশে ছয়রাস্তার মোড়ে আসে এবং দিন হাজিরা মিটিয়ে তাদের নিজ বাড়ি জেলখানা মোড়ে নিয়ে যায়। শ্রমিকরা তাদের কোদাল ও ঝুড়ি নিয়ে বালু ফেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এ সময় অপরদিক থেকে শহর যুবলীগের একটি মিছিল শ্রমিকদের সামনে আসে। পরে পুলিশ দেখে মিছিলকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা কোদাল ও ঝুড়িসহ ১০ জন শ্রমিককে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আটককৃত পরিবারের সদস্যরা বলছেন, যাদেরকে পুলিশ ধরে এনেছেন তারা দিন আনে দিন খায়, কখন কোনো রাজনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন তারা।
শ্রমিক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন ছয়রাস্তা মোড় থেকে ১০ জন শ্রমিককে ৬০০ টাকা হাজিরা চুক্তিতে কাজের জন্য করে ভাড়া নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে কাজ না দিয়ে আওয়ামী লীগের একটি ব্যানারের সামনে দাঁড়াতে বলে এবং তারা ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে মিছিল করার সময় তাদেরকে হাতে নাতে আটক করা হয়। তারা মিছিলের বিষয়টি স্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ আইনের নাশকতা মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।







