প্রেমের টানে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশের রংপুরে: অতঃপর জেলে

“প্রেম হলো মানুষের মনের অনুভতি,বাস্তবতার সাথে যার কোন মিল নেই, তারপরও মানুষ প্রেমে পড়ে, কারন বাস্তবতাকে মানুষ কখনই সহজে মেনে নিতে পারেনি, পারবেও না।” এমনি এক প্রেমের টানে ভারতীয় তরুণী এসেছে বাংলাদেশের রংপুরে। তবে বাংলাদশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

আজ রবিববার (২৭ জুন) দুপুরে ভারতীয় তরুণীসহ তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার কোতোয়ালি থানার ভাংত জাংলা গ্রামের মন্টু পণ্ডিতের মেয়ে প্রীতি পণ্ডিত। সে গত ২৪ জুন যশোরের বেনাপোল সীমান্ত হয়ে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।

জানা গেছে, আড়াই বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছিলেন রংপুরের মিলন (২৪) ও তার বন্ধু হাবিবুর (২৫)। তারা সেখানকার হুগলী জেলায় রং মিস্ত্রির কাজ নিয়েছিলেন। ওই সময়ে মিলনের সাথে প্রীতি পণ্ডিত (১৭) নামে এই ভারতীয় তরুণীর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মাঝে গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক।

এভাবে দীর্ঘ দুই বছর সম্পর্ক চলার পর অবশেষে প্রেমের টানে প্রীতি পণ্ডিত ছুটে এসেছে বাংলাদেশের রংপুরে। কিন্তু অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সঙ্গে প্রেমিক মিলন মিয়া ও তার বন্ধু হাবিবুর রহমানকেও পুলিশ গ্রেফতার করে রংপুর সদর কোতোয়ালি থানায় এনেছে।

জেলার মিঠাপুকুরের রানীপুকুর ইউনিয়নের নূরপুর বালাপাড়া গ্রামের স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেলে প্রীতি পণ্ডিত যশোর থেকে রংপুরে চলে আসে। সেখানে পৌঁছলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে প্রীতিকে নিয়ে মিলন তার বন্ধু হাবিবুরের সহায়তায় পার্শ্ববর্তী রানীপুকুরে নিকট আত্মীয় লতিফুলের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে সেখান থেকে তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করে।

রংপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার অভিযান চালিয়ে ভারতীয় এক তরণীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার তিনজনকে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ওই ঘটনায় মানব পাচার আইনের ৬,৭,৮ ও ১০ ধারার আলোকে একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী এসআই জাহাঙ্গীর আলম ভারতীয় তরুণীকে সেভ হোমে রাখার জন্য আমলি আদালতের বিচারকের কাছে আবেদন করেছেন।