ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশ থেকে আমদানি করা দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। সরকারি এক তদন্তে জানা গেছে, এসব পণ্য ইইউ’র কিছু দেশ থেকে সরকারি অনুদান বা ভর্তুকি পেয়েছে, যা চীনের অভ্যন্তরীণ দুগ্ধশিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তবে ইউরোপীয় কমিশন এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক এবং অযৌক্তিক’ বলে দাবি করেছে এবং তারা এটি পরীক্ষা করছে এবং চীনা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাবে।
স্থানীয় সময় (২২ ডিসেম্বর) চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইইউ থেকে আমদানি হওয়া কিছু দুগ্ধজাত পণ্য সরকারি সহায়তার সুবিধা পেয়েছে। ফলে দেশীয় উৎপাদকরা নেতিবাচক প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছে। তাই নতুন শুল্কের হার ২১ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪২ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এই শুল্ক মূলত ফ্রেশ চিজ, কার্ড ও রোকফোর চিজের মতো পণ্যের ওপর আরোপ করা হবে।
গত বছরের আগস্টে শুরু হওয়া এই তদন্ত চায়না ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন ও চায়না ডেইরি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের অনুরোধে পরিচালিত হয়। এটি ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ইইউ থেকে আমদানি হয়েছে। এরপর ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে চীনের দেশীয় শিল্পে পড়া প্রভাব মূল্যায়ন করেছে।
তদন্তে ইইউ’র সাধারণ কৃষি নীতি (সিএপি) অনুযায়ী ২০টি অনুদান এবং আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও ইতালিসহ কিছু দেশের জাতীয় অনুদানও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই তদন্তটি মূলত ২০২৫ সালের আগস্টে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মামলার জটিলতা ও নিয়মকানুনের কারণে সময় ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে চীন ইইউ থেকে আমদানি করা শুকরের মাংস ও প্রক্রিয়াজাত পণ্যের দাম কমার কারণে তদন্ত শুরু করেছিল। দেড় বছরের তদন্ত শেষে চীন চীন ৪ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন শুল্ক চীনে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বাড়াতে পারে, তবে দেশীয় উৎপাদকরা সুবিধা পাবে। তবে এটি চীন ও ইইউর মধ্যকার কৃষি পণ্যের বাণিজ্যিক উত্তেজনা তুলে ধরেছে।







