যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃত্যুর মিছিলে ১১ বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইতালিতে মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশি নারী-পুরুষ। এদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ১১ জন। সর্বশেষ ২৯ মার্চ লন্ডনের এনফিল্ডের একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মো. সোহেল আহমেদ (৫০) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি মারা যান। তার বাড়ি সিলেটের বড়ইকান্দি গ্রামে।

গত শনিবার দুপুর ২টায় লন্ডনের কিং জর্জ হাসপাতালে মারা যান আনোয়ারা বেগম চৌধুরী (৬৫) নামের এক বৃটিশ বাংলাদেশি। তিনি সিলেটের বালাগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন। একইদিন আলম আশরাফ আকন্দ (৫০) নামের আরেক বাংলাদেশি মারা যান। তার বাড়ি জামালপুর জেলায়।

এর আগে শুক্রবার ম্যানচেস্টার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাঈদ হোসেন জসিম (৬৫) নামে এক বাংলাদেশি। তার বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সীর হাটে। এদিন লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় মো. মনির উদ্দিন (৬০) নামের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি সিলেটের উমরপুর ইউনিয়নের মান্দারুকা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
বুধবার মারা গেছেন হাজী ফখরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি পূর্ব লন্ডনের ডকল্যান্ডে বসবাস করতেন।

গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় একই হাসপাতালে মারা যান খসরু মিয়া (৪৯) নামের এক ব্যক্তি। জগন্নাথপুর উপজেলার শাহারপাড়া আটঘর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।

এর আগে গত ২৩ মার্চ ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় টাওয়ার হ্যামলেটসের স্যাটেল স্ট্রিটের বাসিন্দা হাজী জমশেদ আলীর (৮০)। তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলার ছনগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

১৬ মার্চ তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে মারা যান যুক্তরাজ্যে সফররত মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুর রহমান (৭০)। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে মৃত্যুবরণ করেন লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের রেহান উদ্দিন (৬৬)।

গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী প্রথম ব্যক্তি ছিলেন ম্যানচেস্টারে বসবাসরত ৬০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি। তিনি পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে ইতালি থেকে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন ব্রিটেনে।

গত দুই দিনের তুলনায় সোমবার মৃতের সংখ্যা কমেছে। এ নিয়ে টানা দুদিন কমলো মৃতের সংখ্যা। এর আগে রোববার মারা গেছেন ২০৯ জন ও শনিবার ২৬০ জন। তবে মৃতের সংখ্যা কমায় স্বস্তি মিলছে না।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের উহান শহরে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পর বিদেশে থাকা নাগরিকেরাও এতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ঠিক কত, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। তবে বিদেশে বাংলাদেশের কয়েকটি দূতাবাস ও ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ মুহূর্তে বিদেশে থাকা বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ জন নাগরিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।