কুয়েতে কারফিউর কারণে শ্রমিকদের বেতন নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কুয়েতে কারফিউ অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে লোকসানের মুখে প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করেই কুয়েতে করোনা আবারও লাগামহীন হয়ে উঠেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৭ মার্চ থেকেই কারফিউ জারি করে দেশটির সরকার। বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার কারফিউ এক মাসের জন্য জারি করা হয়েছিল।

এতে সরাসরি প্রভাব পড়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর। ক্রেতাশূন্য মার্কেটগুলোতে আগের মতো বেচাকেনা না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। দোকান ভাড়া ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। দেশটিতে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন। ব্যবসায় মন্দার কারণে ইতোমধ্যে অনেকেই তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেশে ফিরে গেছেন। তবে দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসীদের আশা, শিগগিরই মহামারি কাটিয়ে আবারও তাদের ব্যবসায় প্রাণ ফিরবে।

উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ দেশটির মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে করোনারোধে ১২ ঘণ্টার কারফিউ দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের বরাত দিয়ে স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়।

সেই খবরে বলা হয়, ৭ মার্চ থেকে ১ মাসের জন্য প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাহিরের দেশের নাগরিকদের দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত। লোকসমাগমের স্থানসমূহ পার্ক, বাংলো বন্ধ থাকবে।