প্যারালিম্পিকে স্বর্ণজয়ী বেছে নিলেন ‘স্বেছামৃত্যু’

ইউথেনেসিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যুর মাধ্যমে জীবনাবসান ঘটিয়েছেন প্যারালিম্পিকে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ বেলজিয়ামের মারিয়েকে ভারভুর্ত (৪০)। তিনি দুরারোগ্য পেশি ক্ষয়রোগে ভুগছিলেন।

ইউথেনেসিয়া বেলজিয়ামে বৈধ। এর মাধ্যমে একজন রোগী আবেদন করে নিজের মৃত্যু ঘটানোর আইনি অধিকার পেতে পারেন। তবে এর জন্য তাঁকে নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করে মেডিকেল বোর্ডের অনুমতি পেতে হয়।

বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, মারিয়েকের শহর দিস্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যাকে স্বেচ্ছামৃত্যুর দিন হিসেবে বেছে নেন এই নারী ক্রীড়াবিদ। ২০০৮ সালে ইউথেনেসিয়ার জন্য তিনি কাগজপত্রে সই করেন। তাঁর ইচ্ছা অনুসারে যেকোনো দিন চিকিৎসকের মাধ্যমে তাঁর জীবনাবসান ঘটানোর অনুমতি ছিল।

মারিয়েকে ২০১২ সালের লন্ডন প্যারালিম্পিকে ১০০ মিটার হুইলচেয়ার দৌড়ে সোনা এবং ২০০ মিটার হুইলচেয়ার দৌড়ে রুপা জয় করেন। ২০১৬ সালের রিও প্যারালিম্পিকে ৪০০ মিটার দৌড়ে রুপা এবং ১০০ মিটার দৌড়ে ব্রোঞ্জপদক জয় করেন।

মারিয়েকে ভেরভুর্তকে অসুস্থতাজনিত অনেক যন্ত্রণা ভোগের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তাঁর সব সময় ব্যথা অনুভূত হতো। তাঁর পা দুটো পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। তিনি ঘুমাতেই পারতেন না।

২০১৬ সালে বিবিসি রেডিও ৫–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মারিকে বলেছিলেন, ‘যন্ত্রণায় আমি কাঁদি, চিৎকার করি। আমার খিঁচুনি শুরু হয়। আমার প্রচুর পরিমাণে ব্যথানাশক ওষুধের প্রয়োজন হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস করেন, এত ব্যথার মধ্যেও কীভাবে আমি এত ভালো ফল করি, হাসি ধরে রাখি। আমার জন্য, হুইলচেয়ারে করে এই খেলা, দৌড় একধরনের চিকিৎসাই।’

ইউথেনেসিয়ার কাগজপত্রে সই করার বিষয়ে মারিয়েকে বলেন, ‘এটা একধরনের প্রশান্তি এনে দেয়। আমি জানি, যখন এটা যথেষ্ট (যন্ত্রণা) হয়ে পড়ে আমার জন্য, আমার কাছে ওই কাগজপত্র (ইউথেনেসিয়া) আছে।’

Scroll to Top