বিজয় দিবস প্রীতি ম্যাচে বাশারদের হারাল নান্নুরা

স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ক্রিকেটার শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল ও শহীদ মোশতাক আহমেদ স্মরণে ১৯৭২ সাল থেকে প্রতি বছর বিজয় দিবসে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হোম অব ক্রিকেটে সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে মুখোমুখি হয় হাবিবুল বাশার সুমনের শহীদ মোশতাক একাদশ ও মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর শহীদ জুয়েল একাদশ।

এদিন বিজয়ের ঐতিহ্য মেনে আরও একবার দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের পদচারণায় এদিন মুখরিত ছিল মিরপুর স্টেডিয়াম। মিলনমেলার এই প্রীতি ম্যাচটিতে ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সের অসাধারণ হাফ সেঞ্চুরিতে শহীদ মোশতাককে ১ ওভার হাতে রেখেই ৭ উইকেটে হারিয়েছে শহীদ জুয়েল একাদশ।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ১৫ ওভারে সাত উইকেটে ১২৯ রান তোলে শহীদ মোশতাক একাদশ। দলটির হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তুষার ইমরান। ২৬ বলে খেলেছেন মারমুখী এই ইনিংস। ছয়টি চারের পাশাপাশি এক ছক্কার মারে এনে দিয়েছেন দলের বড় সংগ্রহ।

এ ছাড়া ১৪ বলে ২৩ রান করে দেশের ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপি। এহসানুল হক সেজান, হাবিবুল বাশার সুমন এবং নিয়ামুর রশিদ রাহুল তিন জনই ১৪ রান করে সংগ্রহ করেন। শহীদ জুয়েল একাদশের হয়ে ২১ রান খরচায় ২ উইকেট নেন জাভেদ ওমর বেলিম।

রান তাড়া করতে নেমে খুব বেশি ভাল শুরু হয়নি শহীদ জুয়েল একাদশের। জাভেদ ৬ বলে ৫, মোহাম্মদ রফিক ১১ বলে ১৮ এবং মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ৮ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। ৬৯ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় শহীদ জুয়েল একাদশ। তিন উইকেটের মধ্যে দুটি উইকেট নেন আব্দুর রাজ্জাক। এরপর আর উইকেট হারায়নি তারা। ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সের ৪৩ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ১ ওভার হাতে রেখেই ম্যাচ জেতে শহীদ জুয়েল একাদশ। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ডলার মাহমুদ। ১৬ বলে একটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন ডলার। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন ডিকেন্স।

শহীদ মোশতাক একাদশ-

মেহরাব হোসেন অপি, তুষার ইমরান, হাবিবুল বাশার সুমন, নিয়ামুর রশিদ রাহুল, সেলিম শাহেদ, মোহাম্মদ সেলিম, মোর্শেদ আলী খান সুমন, হাসানুজ্জামান ঝড়ু, এহসানুল হক সেজান, সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, শফিউদ্দীন আহমেদ বাবু, আব্দুর রাজ্জাক, মিজানুর রহমান বাবুল, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মোহম্মদ আলী।

শহীদ জুয়েল একাদশ-

জাভেদ ওমর বেলিম, খালেদ মাসুদ পাইলট, মুশফিকুর রহমান বাবু, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আকরাম খান, আনোয়ার হোসেন (উইকেটরক্ষক), খালেদ মাহমুদ সুজন, মোহাম্মদ রফিক, জিএস হাসান তামিম, ডলার মাহমুদ, রবিউল ইসলাম, ফাহিম মুন্তাসির সুমিত, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, সাজেদুল ইসলাম, এ এস এম রকিবুল হাসান।

Scroll to Top