বাফুফে সভাপতিকে দুদকের তলব

দু’দিন আগে পাওনা আদায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন আব্দুস সাদেক নামের এক ব্যক্তি। এবার দুনীর্তি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশ পেয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ এই সংস্থাটি। অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে নথিপত্র চেয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) আবু হোসেনকে এই নোটিশটি পাঠিয়েছে দুদক।

যদিও দুদকের নোটিশের সকল বিষয়ই পুরোনো বলে দাবি করেছে বাফুফে। মীমাংসিত বিষয়ে দুদক কেন আবার নোটিশ পাঠিয়েছে তা বলতে পারছেন না সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তবে এটা নির্বাচনী রাজনীতির এক অংশ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

২০১৬ সালের সেপ্টম্বরে ভুটানের কাছে হারের পর একবছর আন্তজার্তিক ফুটবল থেকে দুরে ছিল বাংলাদেশ। এই সময়ে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে উঠতে ব্যর্থ হওয়া দলগুলোকে খেলার মধ্যে রাখতে সলিডারিটি কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। এএফসির ওই টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় বাফুফে।

প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ২০ হাজার ডলার জরিমানা করে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। কেন এই প্রতিযোগিতা অংশ নেয়নি বাংলাদেশ, বিষয়টি জানতে চেয়েছে দুদক। আার কিভাবেই তাদের জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেছে বাফুফে, তাও জানতে চেয়েছে দুদক। এছাড়া বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আয় ব্যয়, প্রাইজমানির হিসাব, বিদেশী কোচদের বেতনাধি সর্ম্পকে তথ্য চেয়েছে তারা। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন নেপালের প্রাইজামানির পরিশোধের বিষয়েও জানতে চেয়েছে দুদক। এর পাশপাশি ফিফার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ব্ল্যাটারের ঢাকা সফরের খরচের হিসাবও চেয়েছে। তখন অতিরিক্ত খরচ হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এসব বিষয়ের তথ্যাদি নিয়ে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও চীফ ফিনাশিয়াল অফিসার (সিএফও) আবু হোসেনকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দুদক।

দুদকের এই নোটিশের ব্যাপারে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, প্রতিটি ইস্যুই আগে সুরাহা হয়েছে। আমরা আগেই দুদককে জানিয়েছি এএফসি কেন আমাদের ২০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের হিসাব নিকাশ আগে একবার দুদকে জমা দিয়েছি। তারপরেও দুদক যেহেতু আমাদের কাছে পুনরায় এসব বিষয় জানতে চেয়েছে। এসবের ডকুমেন্টস আমরা খুব তাড়াতাড়ি দুদককে সরবরাহ করবো। 

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে