মেয়র পদপ্রার্থী রিফাত জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আরফানুল হক রিফাত নিজের কেন্দ্র ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোটের পরিবেশ নিয়েও তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে মেয়র পদপ্রার্থী রিফাত নিজের জয়ের ব্যাপারেও ‘শতভাগ আশাবাদ’ ব্যক্ত করেছেন।

আজ বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই ইভিএমে ভোট দিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রিফাত বলেন, “এখন পর্যন্ত চমৎকার পরিবেশ দেখছি। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।”

তিনি আরও বলেন, “আমি আশাবাদী লোক। নিরাশার ধারে কাছেও যেতে চাই না। সবাইকে বলব, আশাবাদী হোন।” এরপরই আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী রিফাত দলীয় সমর্থকদের নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে বেরিয়ে যান।

এদিকে ইসি কর্মকর্তারা জানান, এদিন সকাল ৮টায় নির্ধারিত সময়েই এ নগরীর ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

সোয়া দুই লাখের বেশি ভোটারের এ নগরে ভোট নেওয়া হচ্ছে ইভিএমে। আর এবারই প্রথম সব কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে রয়েছে সিসি ক্যামেরা।

মেয়র পদের পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আলোচনা মূলত তিনজনকে ঘিরে। গত দুইবারের মেয়র বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারও নজর কেড়েছেন।

নির্বাচন বিশ্লেষকরা এ নির্বাচনকে গত দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর জন্য বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন, সেই সঙ্গে এই ভোট হবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্যও ‘লিটমাস টেস্ট’।

এদিকে সুষ্ঠু ভোটের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মাঠে আছে বিপুলসংখ্যক র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য।

এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দু’জন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট হবে।

এখানে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ১০৮ জন প্রার্থী লড়াই করছেন।

Scroll to Top