মাশরাফির যে মন্ত্রে তামিমের সাফল্য!

বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ছিলেন না মাশরাফি বিন মর্তুজা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় তার দল রংপুর রাইডার্স। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরকে হারিয়েই ফাইনালের টিকেট কাটে।

শুক্রবারের ফাইনালে মাঠে সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও ঠিকই ছিল মাশরাফির ছায়া। বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম এই অধিনায়ক ছিলেন তামিম ইকবালের প্রেরণা হয়ে।

এদিন তামিমের দানবীয় ইনিংসে ভর দিয়েই রানের পাহাড় গড়ে কুমিল্লা। যা আর ডিঙাতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। এদিন ৬১ বল খেলে তামিম অপরাজিত ছিলেন ১৪১ রানে। তার এই দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় কুমিল্লা। এবং শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলে।

এমন অতিমানবীয় ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও হয়েছে তামিম। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে তামিমের এমন ইনিংসের রহস্য। সেই রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান জানালেন, মাশরাফির মন্ত্রেই অনুপ্রেরণা পান তিনি, “সত্যি কথা আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। মাশরাফি ভাইয়ের কৌশল ব্যবহার করছিলাম। উনি সব সময় একটা জিনিস বলে, আমি জানি না কোথা থেকে পায়, সব সময় বলে ‘আমি জিতব, আমি জিতব, আমি জিতব’। এই পুরো বিপিএলে আমার এই কৌশল ছিল। উনার থেকে কপি করেই পুরো বিপিএলের প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত যাই হোক বলেছি আমরা জিতব। টেনশনে থাকলেই ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”

যতই ধুন্ধুমার ব্যাট করনে না কেন পুরোটা সময় জুড়েই নিখুঁত পরিকল্পনায়ই এগিয়েছেন তামিম। কাকে কিভাবে খেলবেন প্রতিনিয়তই তার হিসেব নিকেশ করেছেন তিনি, ‘আমি কখনই ভাবিনি এরকম একটা ইনিংস খেলব। ব্যাটিং নিয়ে একটা কথাই বলতে চাই যে আমি পরিকল্পনা করেছি খুব সুন্দরভাবে। বারবার একটা কথাই বলছিলাম যে আমার সঙ্গে জুটি করছিল, সাকিব আর নারিনকে উইকেট দেব না। পুরো ইনিংসে যদি দেখেন নারিনকে একটা ছয় ছাড়া মনে হয় না কোন ঝুঁকি নিয়েছি।’

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে

Scroll to Top