বড় পরাজয়ের পথে বাংলাদেশ

মরনে মরকেল খেলতে পারবেন না বলে একটু কি খুশি হয়েছিল বাংলাদেশ দল? হয়ে থাকলে পঞ্চম দিন খেলা শুরু হতেই তা মিলিয়ে গেল। মরকেল না থাকলে কি হবে। কাগিসো রাবাদা আছেন না। পচেফস্ট্রুমে শেষ দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ও লিটন দাসকে তুলে নিলেন তিনি। ৫৫ রানে ৪র্থ ও ৬২ রানে ৫ম উইকেট পড়লো বাংলাদেশের। ৬৭ রানে পড়লো ষষ্ঠ উইকেট। কেশব মহারাজের বলে সাব্বিরও ফিরে যাওয়ায় পড়লো সপ্তম উইকেট। ৬৭ রানে ৭ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। এই টেস্টে ড্রয়ের আশাও এখন কার্যত শেষ বাংলাদেশের। পরাজয়টা কত রানের হয় সেটিই এখন দেখার।

সামনের কঠিন পথ পাড়ি দিলে হলে প্রয়োজন অবিশ্বাস্য কোন প্রতিরোধ। আর সে জন্য টাইগাররা যার উপর ভরসা রাখতে পারে সবচেয়ে বেশি, সেই মুশফিকুর রহীম ফিরে গেলেন পঞ্চম দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই। ৩ উইকেটে ৪৯ রান নিয়ে পচেফস্ট্রুম টেস্টে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের তৃতীয় ওভারেই কাগিসো রাবাদার বলে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ হলেন মুশফিক (১৬)। আগের দিনের সঙ্গে আর কোন রানই যোগ করতে পারলেন না তিনি। এরপর প্রথম ইনংসে ফিফটি করা মাহমুদউল্লাহ আউট মাত্র ৯ রান করেই। লিটন এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন ৪ রান করে। ৪ করে সাব্বিরও এলবিডব্লিউ হলেন মহারাজের বলে। মহারাজের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ফিরে গেছেন তাসিকিনও। ৮ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

আগের দিন চা বিরতির ঠিক আগের বলে ইমরুল কায়েসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৩২ রান করে কেশব মহারাজের বলে কুইন্টন ডি কককে ক্যাচ দেন ইমরুল। তার আগে ৪২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের। মরনে মরকেলের প্রথম ওভারেই স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ হতেই তামিম ইকবাল (০) ও মুমিনুলকে (০) হারায় বাংলাদেশ।

এমনিতেই ৪২৪ রানের লক্ষ্য, তার উপর অমন শুরু। ক্রিকেট ইতিহাসে এত বড় রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই কারো। বাংলাদেশের চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানটা আবার ৪১৩। সেটিও ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ২০০৮ সালে। তাই এই টেস্টে জয়ের আশা করাটা দুঃসাহসই। বাংলাদেশ অবশ্য ড্র’র কথাই ভাবছে। চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলে গেছেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু শুরুটাই যেমন হলো, তাতে কি আর স্বপ্ন কথাটা ব্যবহার করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, ০২ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ