স্টেডিয়াম নয়, যেন পাড়া-গায়ের কোনো এক ধানখেতে খেলছে বাংলাদেশ!

ক্ষতবিক্ষত জায়গাগুলোতেই সবুজ রং করা হয়েছে। কাল বিকেলেও বোল্যান্ড পার্কের মাঠ ছিল ক্ষতবিক্ষত। ঘাস উঠে বের হয়ে ছিল কালো মাটি। আজ সকালে দূর থেকে সেই দাগ আর দেখা যাচ্ছে না। মাঠটা প্রায় সবুজ। কিন্তু এক রাতের মধ্যে কী করে ক্ষতবিক্ষত মাঠের চেহারা এত বদলে গেল!

না, কোনো জাদুমন্ত্রে বদলে যায়নি। কালো জায়গাগুলোয় কৃত্রিম রং ব্যবহার করেই মাঠের চেহারা কিছুটা সবুজ করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। ফেলা হয়েছে আলগা মাটি। আয়োজকেরা তাতে মোটামুটি সফলও। বাউন্ডারির বাইরে থেকে অন্তত এখন আর মাঠটাকে অত ক্ষতবিক্ষত মনে হচ্ছে না। তবে একটু ভালো করে তাকালেই দৃশ্যমান হচ্ছে রঙের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অমসৃণ জায়গাগুলো। যেন পাড়া-গায়ের কোনো এক ধানখেতে খেলছে বাংলাদেশ!

শুধু মাঠ নয়, আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য পুরো বোল্যান্ড পার্কই আসলে অপ্রস্তুত অবস্থায় আছে। প্রেসবক্সের অবস্থাও করুণ। ড্রেসিংরুমের নিচতলায় সাংবাদিকদের খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠের সমতল জায়গায় বলে প্রেসবক্স থেকে খেলাও ঠিকভাবে দেখার উপায় নেই। সামনে পিলার, তার সামনে পেরিমিটার বোর্ড এবং তারও সামনে খেলোয়াড়দের ডাগ আউট। ফাঁকফোকর দিয়ে মাঠের যেটুকু দেখা যাচ্ছে, তাতে খেলা দূরে থাক, খেলোয়াড়দেরও ঠিকভাবে চেনা যাচ্ছে না।

বোল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী জেমস ফরটুইন অবশ্য আগের রাতেই এই অব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশি সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। হতাশার সুরে তিনি জানান, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিকে সামনে রেখে গত জুন মাসে সংস্কারকাজ শুরু হয় বোল্যান্ড পার্কের। বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচটা পড়ে গেছে সেই সংস্কারকাজের মধ্যে।

অন্যদিকে, যে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টির জন্য এত কিছু, সেটিও হয়ে গেছে বাতিল। মাঝখানে বোল্যান্ড পার্ক পড়ে গেছে বিশৃঙ্খল অবস্থায়।

বাংলাদেশ সময় : ১৬১০ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ