শেষ বিকেলে সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে বেসামাল অস্ট্রেলিয়া!

ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে তোলা ২৬০ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিবে-মিরাজের ঘূর্ণিতে বেসামাল হয়ে পড়েছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। দিন শেষে তিন উইকেট হারিয়ে ১৮ রান করেছে সফরকারীরা। ফিরে গেছেন ডেভিড ওয়ার্নার,ওসমান খাজা ও নাথান লিওন । সর্বশেষ সাকিবের শিকার হয়ে ফিরে গেছেন নাথান লিওন। এর আগে রান আউট হয়ে ফিরেছেন ওসমান খাজা। তার আগে মিরাজের বলে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ডেভিড ওয়ার্নার রিভিউ নিয়ে বাঁচলেও পরের বলেই এলবির ফাঁদে পড়েন।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৬০ রানেই অল আউট হয়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। সকালের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মতো শেষটাও হয়েছে ভয়ানক। টপ অর্ডার ও লোয়ার নিদারুণ ব্যর্থ। সাকিব আল হাসান (৮৪) ও তামিম ইকবালের (৭১) লড়াই ছাড়া আর কেউই লড়ার জন্য দাঁড়াতে পারলেন না। অসি বোলারদের সামনে সাকিব-তামিম ছাড়া বাকিরা একরকম অসহায় আত্মসমর্পণই করলেন। সকালে ১০ রানে প্রথম ৩ উইকেট পড়েছে। এরপর শেষ বিকেলে ২০ রানে পড়েছে শেষ ৪ উইকেট।

\"\"

অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করার হুমকি দিয়েই রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট খেলতে নামে টাইগাররা। টস জিতে আগে ব্যাট করে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়। তামিম-সাকিব দুই বন্ধু মিলে ১৫৫ রানের জুটি গড়েছিলেন চতুর্থ উইকেটে। দুজনই সেঞ্চুরির সুবাস পেয়েও ম্যাজিক ফিগারটা না পেয়ে ফিরেছেন আক্ষেপ নিয়ে। যদিও বাজে অবস্থা থেকে দলকে টেনে তোলার কাজটা বেশ ভালোভাবেই করেছেন দেশের দুই সেরা তারকা। কিন্তু বাকিরা? প্রথম দিনের পুরোটা তো খেলা হলোই না, চা বিরতির পর ধসে ৭৮.৫ ওভারেই শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

সকালে রোদেলা আকাশ আর টসে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের জয়ের মধ্য দিয়ে দর্শকদের মুখে হাসি ফোটলেও কিছু সময় পরই তা মিলিয়ে যায়। আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ বিপর্জয়ে পড়ে টাইগাররা। ১০ রানের মাথায় পর পর ফিরে যান সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমান। তিন জনই ফিরেছেন প্যাট কনিন্সের বলে।

\"\"

এরপর অজি বোলারদের সামনে দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। গড়ে তুলেন ১৫৫ রানের জুটি। দুজনেই খেলতে নেমেছেন নিজেদের পঞ্চাশতম ম্যাচ। এমন মাইল ফলকের ম্যাচে সতির্থরা তাদের দুজনকে বড় উপহার দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হলো উল্টো। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় তারা পড়লেন নিদারুণ চপে। যা সামাল দিলেন ভালো ভাবে। কিন্তু তামিম ৭১ রানে ম্যাক্সওয়ের বলে ফিরলে আবারো ছন্দ পতন। ২৩ রানের ব্যবধানে ফিরে যান সাকিবও। সেঞ্চুরির আশা যখন জেগে উঠেছিল তখন ৮৪ রান করে লায়নের বলে ফিরেন সাকিব।

সাকিবের পর একই পথে হাটেন মুশফিক। অ্যাগারের বলে ১৮ রান করে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তিনি। এরপর নাসির হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ আশা আভাস দিচ্ছিলেন লড়াইয়ের। দুজনের জুটিটা জমেও গিয়েছিল। ৪২ রান তুলেছিলেন সপ্তম উইকেটে। কিন্তু মিরাজ ১৮ রান করে ফিরলে সেই জুটিরও পতন ঘটে। নাথান লায়নের বলে সিলি মিড অনে হ্যান্ডসকম্বের হাতে ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন মিরাজ।

এর মাত্র ৬ রান যোগ হতেই ফিরে গেছেন নাসির হোসেনও। অ্যাগারের বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরেছেন নাসির। সেই ধাক্কার পর পরই ফিরলেন তাইজুল ইসলামও। আর শেষ ব্যাটস্যাম হিসেবে ফিরেন শফিউল ইসলাম (১৩)। মোস্তাফিজুর রহমান অপরাজিত ছিলেন ‘০’ রানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ২৭ আগস্ট ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসপি