বান্দরবান সীমান্তে ব্যাপক গুলি ও বোমা বর্ষণ

বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তে ব্যাপক গুলি বিনিময় ও বোমাবর্ষণ চলছে। গতরাত ৩ টা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত থেমে থেমে গুলি ও বোমা বর্ষণ চলছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রূ সীমান্তে। বেশ কয়েকটি গুলি ও মটারসেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। এতে হতা হতের ঘটনা না ঘটলেও কোনা পাড়ার কয়েকটি ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির ১৪ জনেরও বেশি সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ধুমধুম বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। সীমান্ত পথে আরো ৩০ জনেরও বেশি বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অবস্থান নিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

ঘুম ধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা তুমব্রূ সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্তে লাগুয়া স্কুলগুলো আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সীমান্তে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্তে যত অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে প্রশাসন থেকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সীমান্তের দিকে নজর রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সাথে সে দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এ সংঘর্ষের জের ধরে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রূ সীমান্তেও উত্তেজনা চলছে। মায়ানমারের বিদ্রোহীরা দখল করে নিয়েছে মায়ানমারের তুমব্রূ ক্যাম্পটি।

Scroll to Top