মালয়েশিয়ায় করোনা আতঙ্কে প্রবাসীরা

করোনার প্রভাবে মালয়েশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছে। একদিনে দেশটিতে শনাক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২৯ জন। অপরদিকে, এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৯৪ জন। এ পরিস্থিতিতে ব্যাপক আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় নাগরিকসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।জরুরি অবস্থার মধ্যেও প্রতিদিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।

মালয়েশিয়ার ৬টি রাজ্যে দ্বিতীয় দফার লকডাউন থাকলেও দেশটিতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি সবাইকে ১০ কিলোমিটারের বেশি পথ ভ্রমণের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এমন অবস্থায় আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে প্রবাসীদের।

এক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, আগের তুলনায় মালয়েশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। আমরা জানি না কবে আবার সেই সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারব। আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, করোনায় লকডাউনের কারণে সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে আমরা বেকার হয়ে গেছি। বর্তমানে ধৈর্য ধরা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দোকানপাট ছাড়া সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিনা কারণে ঘর থেকে বের হওয়ায় ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষ কয়েকশ’ জনকে জরিমানাও করেছে।

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রবাসীদের আরও সচেতন ও সরকারের বিধিনিষেধ মেনে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এদিকে, করোনাকালীন বিধিনিষেধের মধ্যেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে দ্রুত পাসপোর্ট পৌঁছে দিতে সরকারের বিধিনিষেধ মেনে গত তিন দিনে আড়াই হাজারের বেশি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। মহামারি করোনার এই প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।