লাদাখ সীমান্তে উড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে চীনের গোয়েন্দা ড্রোন!

লাদাখে সীমান্তে চীন-ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনের খবর প্রকাশ হলেও বাস্তবে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

গালওয়ানে সেনা নিহতের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের লাদাখে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ভূখণ্ড দখলে নিয়েছে চীনা সেনারা। ওই এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে চীনের গোয়েন্দা ড্রোন উড়ছে বলে জানা গেছে।

ভারতীয় বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য কৌশলগত এসব ড্রোন উড়াচ্ছে চীনা সেনাবাহিনী (পিএলএ)। কখনো কখনো এসব ড্রোন সীমান্ত পেরিয়ে পূর্ব-লাদাখের ভারতীয় অংশেও ঢুকে যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে ভারতের অন্তত চারটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার উপর শনাক্ত করা হয়েছে ড্রোন। তবে ড্রোন নজরদারিতে পিছিয়ে নেই ভারতও। এজন্য ইসরায়েলে তৈরি বিশেষ ড্রোন ‘হেরন’ মোতায়েন করেছে ভারত। প্যানগং, গালওয়ান উপত্যকার পর দৌলত বেগ ওল্ডি (ডিবিও) সড়কের ওপর নজর দিয়েছে চীন।

এদিকে চীনা সেনারা পয়েন্ট ১৪-সহ গোটা এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। ফলে ভারতীয় সেনারা পেট্রোলিং পয়েন্ট ১০, ১১, ১১-এ, ১২ এবং ১৩-এ পৌঁছাতে পারছে না।

এই পেট্রোলিং পয়েন্ট (পিপি)-১৪ এলাকায় গত ১৫ জুন সংঘর্ষ হয়েছিল। এখন সেখানে যেতেই পারছে না ভারতীয় সেনারা। সংঘর্ষের পর ফের ভারতের এলাকা দখল করে বসে পড়েছে চীনা সেনারা।

তবে দখলকৃত এলাকায় কোনো স্থাপনা নির্মাণ করেনি বলে খবরে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে ফেলেছে চীনারা। যার মধ্যে পড়েছে বটল-নেক পয়েন্ট বা ওয়াই জংশন পেট্রোলিং পয়েন্ট, ভারতের মধ্যে হলেও যা বর্তমানে চীনের দখলে। এর ফলে কয়েকশো বর্গ কিলোমিটার এলাকায় নজরদারি বন্ধ রাখতে হয়েছে ভারতকে।

অন্যদিকে দু’দিনের সফর শেষে দিল্লি ফিরে শনিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কাছে সীমান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন সেনাপ্রধান এম এম নরবণে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রাজনাথের।
: আনন্দবাজার।