আদানি-আম্বানির লড়াইয়ে দীর্ঘায়িত হল মেসির ভারত সফর

বর্তমানে ভারত সফর করছেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম মহাতারকা লিওনেল মেসি। তবে দেশটির দুই শিল্পপতির লড়াইয়ে এবার দীর্ঘায়িত হলো আর্জেন্টাইন এই ফুটবল জাদুকরের ভারত সফর।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিল্পপতি গৌতম আদানিকে একা মেসি-নম্বর পেতে দিচ্ছেন না দেশটির আরেক শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি। শেষ মুহূর্তে আসরে নেমে মেসিকে ভারত সফর দীর্ঘায়িত করার সিদ্ধান্ত নেওয়াতে পেরেছেন তিনি।

সোমবার রাতে দিল্লি থেকেই বার্সেলোনা ফিরে যাওয়ার কথা ছিল মেসির। কিন্তু গেলেন না বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। দিল্লি থেকে গুজরাটের জামনগরে যাচ্ছেন তিনি। গ্রহণ করবেন আম্বানিদের আতিথেয়তা।

মেসির ভারত সফরের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক আদানি গোষ্ঠী। রবিবার মুম্বাইয়ে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর প্রধানের সঙ্গে নৈশভোজও সেরেছেন মেসি। সঙ্গে ছিলেন লুইস সুয়ারেজ, রদ্রিগো ডি’পলও। বিষয়টি জানার পরই সক্রিয় হয়ে ওঠে আম্বানি গোষ্ঠী।

মেসির সঙ্গে নাম যুক্ত করার দৌড়েও ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী পিছিয়ে থাকতে চায়নি বলেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

আম্বানি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে মেসিকে আমন্ত্রণ জানানো হয় জামনগরের ‘বনতারা’য়। তার বিনিময়ে মোটা অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হয় আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়ককে। আম্বানি গোষ্ঠীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে মুকেশের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন মেসি। তারপর সফরসূচি বাড়িয়ে মঙ্গলবার দিল্লি থেকে জামনগরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

জামনগরে রয়েছে আম্বানি গোষ্ঠীর বিশেষ প্রকল্প ‘বনতারা’। চলতি বছরের প্রথম দিকে যার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় প্রায় ৩০০০ একর বিস্তৃত ‘বনতারা’য় রয়েছে পশুদের সম্পূর্ণ আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। রয়েছে ৪৩ প্রজাতির প্রায় ২০০০ প্রাণী। এশীয় সিংহ, তুষারচিতা, একশৃঙ্গ গন্ডার-সহ একাধিক বিরল প্রাণীর বাসস্থান আম্বানিদের ‘বনতারা’। বন্যপ্রাণী উদ্ধার, সংরক্ষণ ও চিকিৎসার এই বিশেষ প্রকল্প রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর চিড়িয়াখানা হিসেবেও পরিচিত।

বনতারা’ দিয়ে শেষ হবে মেসির এবারের ভারত সফর। আম্বানি গোষ্ঠীর আতিথেয়তা গ্রহণ করে তারপর ফিরে যাবেন মেসি। গত শুক্রবার রাত আড়াইটা নাগাদ ব্যক্তিগত বিমানে কলকাতায় আসেন মেসি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের পরিকল্পনাহীন অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। মাঠে মেসিকে ঘিরে থাকা ভিড়ের কারণে চড়া দামে টিকিট কেনা দর্শকেরা গ্যালারি থেকে মেসিকে দেখতে পাননি। অতিরিক্ত ভিড়ে বিরক্ত মেসি যুবভারতী ছাড়ার পরই দর্শকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। ভাঙচুর চালানো হয় স্টেডিয়ামে। এরপর শনিবার রাতেই হায়দারাবাদ, রবিবার মুম্বাই এবং সোমবার দিল্লির অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

Scroll to Top