ম্যাচ পাতানোর \’লোভনীয়\’ প্রস্তাব পেয়েও ছাড়লেন সরফরাজ!

সাম্প্রতিক সময়ে ম্যাচ\’ পাতানোর দায়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। লজ্জিত হয়েছে তারাই। শাস্তিও বেশি হয়েছে তাদের খেলোয়াড়দের। কিন্তু এবার বিস্ফোরক তথ্য দিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজ পাতিয়ে খেলার জন্য নাকি \’লোভনীয়\’ প্রস্তাব তাকে জুয়ারিরা দিয়েছিলেন। অধিনায়ক তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। সংশ্লিষ্টদের রিপোর্টও করেছেন।

এবছরই পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) এ ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শারজিল খান ও খালিদ লতিফকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ক্রিকেট থেকে। আরব আমিরাতে শ্রীলঙ্কার সাথে দ্বিপাক্ষীয় সিরিজ চলছে পাকিস্তানের। সেখানেই দুবাইভিত্তিক এক বুকির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছেন সরফরাজ।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা বিভিন্ন সময় ম্যাচ পাতানোর দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। বুকিরা অনেক আগে থেকেই টাকার বিনিময়ে খেলোয়াড়দের দিয়ে এই নিষিদ্ধ কাজটি করিয়ে আসছে। পাকিস্তান ক্রিকেট দল সবচেয়ে বেশি ভুগেছে এই সমস্যায়। ২০১০ সালে লর্ডসে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হন তাদের তিন খেলোয়াড়- সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির। মোহাম্মদ আমির পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরতেই ঘটল পিএসএল কাণ্ড।

শারজিল ও লতিফকে নিষিদ্ধ করার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ভেবেছিল এবার বুকিদের দৌরাত্ম কমবে। কিন্তু এর মাঝে পাকিস্তানের তিন সংস্করণেরই অধিনায়ক দিলেন এই চাঞ্চল্যকর প্রস্তাবের তথ্য। সরফরাজের এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছে পিসিবি, \’সঠিক ভাবেই ব্যাপারটি আয়ত্ত্বে আনা হয়েছে। তবে একজন অধিনায়ক ও খেলোয়াড় হিসেবে সরফরাজের অনেক সম্মান প্রাপ্য। কারণ সে তার সতীর্থদের দেখিয়েছে কিভাবে খেলাটিকে কলুষিত করার প্রচেষ্টা থেকে দূরে থাকতে হয়।\’

পিসিবির পক্ষ থেকে সরফরাজের কাজের মূল্যায়নও করা হয়েছে এভাবে, \’আইসিসির নিয়মানুযায়ী এরকম ক্ষেত্রে আমরা খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করতে পারি না। তবে হ্যা, সরফরাজ প্রস্তাবটি পাওয়ার সাথে সাথেই সংশ্লিষ্টদের (আইসিসি) জানিয়েছে এবং তারা সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে।\’

জানা গেছে, সরফরাজকে প্রস্তাব দেয়া মানুষটি দুবাইভিত্তিক এবং তার সাথে পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের পরিচয় আছে। তবে এই ঘটনায় মাঠের বাইরে চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে পাকিস্তান দলের ওপর। পিসিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, \’আরব আমিরাতে সিরিজ (পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা) চলার সময়টাতে খেলোয়াড়দের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তারা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা করতে পারতেন, শপিং করার ও বাইরে রাতের খাবার খাওয়ার সুযোগও তাদের ছিল। কিন্তু এই ঘটনার পর কোচ মিকি আর্থারের অনুরোধে খেলোয়াড়দের এই সুবিধাগুলো সীমিত করা হয়েছে।\’

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/সাদ