অস্ত্র মামলায় দু’টি পৃথক অভিযোগে পাপিয়া দম্পতির ২৭ বছরের কারাদণ্ড

অস্ত্র মামলায় দু’টি পৃথক অভিযোগে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দু’টি অভিযোগের মধ্যে একটিতে ২০ বছর, অপরটিতে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তবে দু’টি অভিযোগের সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। তাই তাদের ২০ বছরেই সাজা ভোগ করতে হবে। আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার এক নম্বর মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় দেন। আদালত প্রাঙ্গণে পাপিয়া, ছবি: ডিএইচ বাদলগত ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেছিলেন একই আদালত।

গত ২৪ আগস্ট একই আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য শেষ হয়। সাক্ষ্য শুরু হওয়ার দেড় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মামলাটির রায় হলো।

গত ২৯ জুন পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে এ মামলায় সিএমএস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে।

আদালত প্রাঙ্গণে মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, ছবি: ডিএইচ বাদলগত ২২ ফেব্রুয়ারি র‌্যাব-২ এর একটি দল পাপিয়া পিউকে আটক করে। এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন।

র‌্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। এ নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচ তারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।

পরে ২৩ ফেব্রুয়া‌রি তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবং ২৪ ফেব্রুয়া‌রি শেরে বাংলানগর থানায় অস্ত্র ও ‌বি‌শেষ ক্ষমতা আইনের দু’‌টি মামলা হয়। তিন‌টি মামলায় এ দুজনকে কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হ‌য়।