কাঠগড়ায় ফোন ব্যবহার : বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপকে সতর্ক করলেন আদালত

আজ বুধবার সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের শেষদিন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত কাঠগড়ায় ফোনে কথা বলার ছবি প্রসঙ্গে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে সতর্ক করেছেন আদালত। এর আগে ওসি প্রদীপের কাঠগড়ায় কথা বলা বেআইনি দাবি করে বিষয়টি বিজ্ঞ বিচারকের নজরে আনেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

বুধবার সকালের দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ‌‘একজন আসামি কীভাবে কাঠগড়ায় মুঠোফোনে কথা বলতে পারেন? দায়িত্বরতরা কী করছিল? বিষয়টি বিজ্ঞ বিচারকের নজরে আনবো।’

এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফের হাজির করা হয় এ মামলার আসামি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে। এই তিনদিনে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে এ মামলার ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১৫ সাক্ষীর সমন জারি করা হয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর পক্ষের আইনজীবী সিনহার সহকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে জেরা করছেন। এ ছাড়া নোটিশ পাওয়া আরও ১৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসকে জেরা করা হয়।

আদালতের কাঠগড়ায় বসে মুঠোফোনে কথা বলেছেন আলোচিত সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি প্রদীপ কুমার দাশ। গত সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের কোনো এক ফাঁকে কাঠগড়ায় বসে তিনি ফোনে কথা বলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত ছবিটি সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ছবিতে দেখা গেছে, আদালত কক্ষের কাঠগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন প্রদীপ। হাতে থাকা মুঠোফোনে কারও সঙ্গে তিনি কথা বলছিলেন। ঘটনার সময় কয়েকজন ব্যক্তি তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

ওই সময় প্রদীপের পরনে ছিল কালো রঙের জামা। ছড়িয়ে পড়া ছবিতে তাকে কালো রঙের জামা পরে থাকতে দেখা যায়। তবে মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিন প্রদীপ আদালতে আসেন লাল রঙের জামা পরে। এ সময় তাকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশি কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।