পেটে বাচ্চা রেখেই সিজার: তিনজনকে হাইকোর্টে তলব

টিউমার ভেবে প্রসূতির পেটে সন্তান রেখেই সিজার শেষ করার ঘটনায় কুমিল্লার সিভিল সার্জন, বেসরকারি হাসপাতালের এমডি ও এক চিকিৎককে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৭ নভেম্বর হাইকোর্টে তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। এ সংক্রান্ত উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আউয়াল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে (২২) দাউদকান্দির গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে সিজার করা হয়।

অপারেশনে অংশ নেন- দাউদকান্দির বিটেশ্বর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে প্রেষণে থাকা মালিগাঁও ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. হোসনে আরা। অপারেশনে এনেসথেসিয়া প্রয়োগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মঞ্জুরুল আলম।

খাদিজা আক্তারের মা আমেনা বেগম জানান, তার মেয়ের গর্ভে ২টি সন্তান থাকলেও সিজারে ১টি সন্তান বের করে অপরটি টিউমার বলে অপারেশন সমাপ্ত করেন ডা. হোসনে আরাসহ থিয়েটারে থাকা অন্যরা। পরবর্তীতে বাড়িতে যাওয়ার পর দীর্ঘ এক মাস পেটে ব্যথা অনুভব করেন খাদিজা।

এ নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে যান তিনি। এ সময় তার পেটে অনেক ব্যথা ছিল। গত কয়েকদিন আগে ওই প্রসূতি হোমনা উপজেলা সদরের একটি ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি করার পর জানতে পারেন তার পেটে টিউমার নয়, আরও একটি মৃত সন্তান রয়েছে।

অভিযোগ পেয়ে এ ঘটনা তদন্তে উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর   ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস