রাজধানীর কদমতলীতে মোসাম্মৎ ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১৫ বছর আগে গলায় ফাঁস দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়।
রোববার (২০ জুলাই) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নার্গিস ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. আল আমিন, মো. মিরাজ মোল্লা ও নুর আলম। রায় ঘোষণার সময় আল-আমিন ও মিরাজকে কারাগার থেকে আদালত হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবারও তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অপর আসামি নুর আলাম পলাতক রয়েছেন। তাকে তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
রায় ঘোষণার বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম তুষার নিশ্চিত করেছেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের স্বামীর আগের স্ত্রী ও অন্য আসামিদের সহযোগিতায় গলায় ফাঁস এবং হাত-পা বেঁধে ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
মামলায় তদন্ত মেষে ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গোয়েন্দা ও অপরাধ বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান এ চার্জশিট দাখিল করেন।
এরপর ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়। বিচার চলাকালে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।







