আইন-স্বরাষ্ট্র সচিবসহ চারজনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪৪ ধারা কার্যকরে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা লিখিতভাবে জানাতে আইন ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ২৪ জুলাই এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আজ সোমবার এই আদেশ দেয়। এছাড়া কোনো এখতিয়ার বলে ঢাকার একটি মাদক মামলা বিচারের জন্য তৃতীয় মহানগর যুগ্ম দায়রা আদালতে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা তলব করেছে হাইকোর্ট। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও তৃতীয় মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের বিচারককে এই ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ইয়াবা ও হেরোইনসহ গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পুলিশের হাতে আটক হন মাসুদুল হক মাসুদ নামে এক ব্যক্তি।ওইদিন তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বংশাল থানায় করা এই মামলায় গত ২২ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এরপরই নিম্ন আদালতে জামিন চান আসামি। কিন্তু জামিন না-মঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করেন তার আইনজীবী। সেখানে তিনি জামিন চান। ওই জামিন আবেদনের নথি পর্যালোচনাকালে হাইকোর্ট দেখতে পায় যে, মাদক মামলাটি আমলে নিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। আর বিচারের জন্য পাঠিয়েছেন ঢাকা মহানগর তৃতীয় যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে। কিন্তু মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করিতে পারিবে। (৪) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, এই ধারার অধীন ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সংশ্লিষ্ট জেলার যে কোনো অতিরিক্ত জেলা জজ বা দায়রা জজকে তাহার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবে। কিন্তু এই আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে আদালতকে জানান আসামির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল ফয়সাল সিদ্দিকী।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুসরাত জাহান। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আসামির জামিন মঞ্জুর করে বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন।