বাড্ডায় মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন

পৃথিবীতে দিন দিন বেড়েই চলছে জঘন্যতম কাজের সংখ্যা। রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা কামাল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার এই রায় দেন।

এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গত ৯ ডিসেম্বর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৮ সাক্ষীর মধ্যে ৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৮ জানুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। এরপর রায়ের তারিখ একদফা পিছিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ৮/৯ বছর আগে ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে ভুক্তবোগী তার দাদীর কাছে থাকতো। ডিভোর্সের পর ভুক্তভোগীর বাবা লিপি বেগম নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে মেয়েকে নিয়ে তার বাবা রূপনগর আবাসিক এলাকার বস্তিতে যান। এ নিয়ে তার সৎ মায়ের সঙ্গে বাবার ঝগড়া হয়। পরে একই বছর ২ মে মেয়েকেসহ আসামি বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগ এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। এরপর ৪ এবং ৫ মে কামাল হোসেন সেখানেই নিজ মেয়েকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবিন্দ দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে মামলাটি তদন্ত করে বাড্ডা থানার এসআই আল-ইমরান আহম্মেদ কামাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।