নাশকতার মামলায় ফের রিমান্ডে হেফাজতের মামুনুল

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হককে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আরও ৮ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে হেফাজতের এই শীর্ষ নেতাকে। আজ মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এ নিয়ে মোট তিন দফায় রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে মামুনুল হককে। এর আগে পল্টন থানার নাশকতার দুই মামলায় মামুনুল হকের ১৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।

এদিকে নাশকতার তিন মামলায় দুই দফায় টানা ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আবারও আদালতে হাজির করা হয় মামুনুল হককে।

শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউট অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু জানান, তদন্তের স্বার্থেই তার এ রিমান্ড।

মামুনুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেসবাহ দাবি করে বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার রিমান্ডে নেয়া অযৌক্তিক।

এর আগের দুই দফা রিমান্ডে সরকার পতনের জন্য ২০১৩ সালের ৫ মের হেফাজতের তাণ্ডব, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সহিংসতায় ব্যবহার, চুক্তিভিত্তিক দুই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক করাসহ সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন মামুনুল হক।

এছাড়া দ্বিতীয় দফায় গত ২৬ এপ্রিল পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় চার দিন ও মতিঝিল থানার মামলায় শুনানি শেষে তিনদিনসহ মোট সাতদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল মামুনুলকে আদালতে তোলা হয়। আগেই তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় সারাদেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা মনে করছে পুলিশ।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় ৫ এপ্রিল মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় দুই হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।